
শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্কঃ স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছিল বহু বছর আগে। সন্তানকে একা হাতে মানুষ করতে করতে কেটে গিয়েছে অর্ধেক জীবন। মধ্য চল্লিশে এসে ভাল লাগল কাউকে। অনেক দিন বাদে মনে হল, এর সঙ্গেই কাটিয়ে দেওয়া যায় বাকি জীবন।
কিংবা আরেকজন। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই স্ত্রীকে হারিয়ে একা। একরত্তি মেয়ের মুখ চেয়ে আর দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। পঞ্চান্ন ছুঁইছুঁই বয়সে এসে মনে হল, ক’দিন পরে মেয়েও চলে যাবে শ্বশুরবাড়ি। বাকি জীবনটা তবে একলা কাটবে কী করে? বহুদিনের বান্ধবীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। সে-ও রাজি।
ব্যস! রে রে করে তেড়ে এল সমাজ। চর্চা, সমালোচনা, হাসাহাসি, ট্রোল— বাদ গেল না কিছুই। মেনে নিতে পারল না নিজের সন্তানও। কথা বন্ধ, অশান্তি। যোগাযোগ বন্ধ করে দিল মেয়ে। অবসাদে ডুবে গেল ছেলে।
কিন্তু এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল? দীর্ঘকাল একা কাটানোর পরে মধ্যবয়সে এসে কেউ জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে চাইলে এভাবে সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হবে কেন? সত্যিই কি তার জেরে সন্তানের মানসিক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে? উল্টো উদাহরণও তো রয়েছে সমাজে। যেখানে বড় হয়ে, প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একলা মা বা বাবার বিয়ে দিয়েছে সন্তান। তা হলে প্রৌঢ়ত্বে এসে বিয়ে করার বিষয়টা কি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে না? একটু সহজ হতে পারে না সন্তানের কাছে? বিষয়টা কিন্তু ভেবে দেখার।
সমস্যা কোথায়
ডিভোর্স বা জীবনসঙ্গীকে অকালে হারানোর পরে প্রৌঢ়ত্বে এসে মা কিংবা বাবা ফের বিয়ে করলে প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের কি তা মেনে নিতে সমস্যা হয়? মনোবিদ দেবাঞ্জন পানের মতে,“প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছনোর পরে সঙ্গীহারা কোনও মানুষ নতুন জীবনসঙ্গীর কাছে আশ্রয় খোঁজেন, তা তো অন্যায় বা দোষের হতে পারে না। সমস্যাটা হল বিয়ে একটা সামাজিক বন্ধন বা স্বীকৃতি, যাতে আরও অনেকগুলো মানুষ জড়িয়ে যায়। তাই বেশ কিছু দিক মাথায় রাখা জরুরি। বিশেষত যাঁরা বিয়ে করছেন, তাঁদের মানসিক দিক বা প্রয়োজনীয়তা এবং তাঁদের কারও যদি প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান থাকে, তার মনোভাব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই সন্তানের ক্ষেত্রে এ বিষয়টা একটু বাধোবাধো ঠেকে। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই কিন্তু ছবিটা এক। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের গবেষক ক্যারে ওয়েক্সলার শেরম্যান যেমন বারবারই দেখেছেন, আমেরিকাতেও বহু পরিণতবয়স্ক ছেলেমেয়ে প্রৌঢ়ত্বে এসে বাবা-মায়ের বিয়ে মেনে নিতে পারে না। এমন আচরণের নেপথ্যে কিছু কারণ আছে। প্রথমত, সন্তান ভাবতে পারে, তার জন্য বাবা বা মায়ের স্নেহের ভাগ কমে যাবে। ফলে একটা আবেগজনিত নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। কিংবা মা বা বাবার বিয়ে নিয়ে লোকে কী বলবে, সমাজ কেমন চোখে দেখবে, ভুরু কোঁচকাবে বা হাসাহাসি করবে কিনা-- সেটাও তাদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তার জেরে হতাশা বা রাগ যা ঠেলে দিতে পারে অবসাদ বা অ্যাংজাইটির সমস্যার দিকে। মা বা বাবা বিয়ের পরে অন্য বাড়িতে চলে যাওয়াটাও শূন্যতা তৈরি করে দিতে পারে। তা ছাড়া, মা কিংবা বাবা বিপথে চলে যাচ্ছেন, অর্থ-সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে সমস্যা হবে কিনা, এমন আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে সন্তানের মনে। আর তা থেকেই প্রৌঢ় বয়সে মা কিংবা বাবার বিয়ে মেনে নিতে সমস্যা তৈরি হয়।‘’
এ থেকে বেরোনোর পথ তবে কী
দেবাঞ্জনের কথায়, “যে মানুষটি বিপত্নীক বা বিধবা, দীর্ঘকাল একা কাটিয়েছেন, অথবা শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত, তিনি প্রৌঢ়ত্বে এসে নতুন সঙ্গীর কাছে আশ্রয় খুঁজতেই পারেন। তাঁদের সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী হলে একে স্বাগত জানানো উচিত। কিন্তু উল্টোদিকের মানুষদের কাছে, বিশেষত সন্তানের কাছে সবটা সহজ করে তুলতে তাঁদের নিজেদেরও কিছু করণীয় থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় সামাজিক লজ্জা বা সংকোচের কারণে সন্তানের কাছে সবটা গোপন রাখলে সে যদি অনেক দেরিতে এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে, তা বিপজ্জনক হতে পারে। অন্যরা জানে, সে জানছে দেরিতে, এমনটা সন্তানকে আরও বেশি আঘাত দিতে পারে। বরং শুরু থেকেই তাকে যদি জানানো যায়, নতুন কাউকে ভাল লাগছে বা তাঁর উপর ভরসা তৈরি হচ্ছে, তা অনেকটা সহজ করে দেয় সবটা। বারবার সন্তানের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করাটা, কিন্তু প্রৌঢ়ত্বে এসেও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ঝগড়া-অশান্তি না করে বাস্তব পরিস্থিতি এবং নিজের চাহিদার জায়গাটা তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ভবিষ্যতে তার কোনও আইনি বা সম্পত্তিগত সমস্যা আসতে চলেছে, এমন আশঙ্কা থেকেও সন্তানকে দূরে রাখতে হবে। শুধু সন্তান বা নিজের কাছের মানুষেরা নয়, সন্তানের পরিমণ্ডলকেও আস্তে আস্তে জীবনের এই নতুন অধ্যায় সম্পর্কে অবহিত করা জরুরি। তাতে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা কমবে। তা ছাড়া, যে সঙ্গী আপনার জীবনে আসতে চলেছেন, তাঁর সঙ্গেও সন্তানকে শুরু থেকেই মেলামেশার সুযোগ করে দিন। তার যদি তাঁকে ভাল না-ও লাগে, বুঝিয়ে দিন সবার সবাইকে ভাল না লাগতেই পারে। এতে সমস্যার কিছু নেই, এর জেরে কোনও বিপদের আশঙ্কাও নেই। সবশেষে বলি, নতুন কাউকে বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেলে সন্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাটা বন্ধ বা কম করে দেবেন না। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আখেরে ভাল হবে সবারই।”
মধ্যবয়সে এসে কাউকে নতুন করে ভাল লাগতেই পারে। ফুটতেই পারে বিয়ের ফুল। সন্তানকে পাশে নিয়ে, খোলামেলা আলোচনা করতে করতে এগিয়ে চলুন। বকুল বিছানো পথ ধরে নতুন বসন্ত আসবেই।
৭০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ‘রোগা’ হলেন সুমো কুস্তিগীর! কয়েক মাসে কীভাবে অসাধ্যসাধন? ফাঁস করলেন নিজেই
বীভৎস! স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ‘মাংসের ঝোল’ রাঁধলেন স্ত্রী! একটি মাত্র ‘ভুল’-এই হাড়হিম কাণ্ডের শিকার হলেন ব্যক্তি
সকালে ঘুম থেকে উঠে এই ৫ ভুল করলেই বারোটা বাজবে লিভারের! অজান্তেই তিলে তিলে শেষ হবে শরীর
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস? সাবধান! অজান্তে কোন মারণ রোগের দিকে এগোচ্ছেন জানলে আঁতকে উঠবেন
পেট ব্যথা থেকে ডায়রিয়া, কাটাছেঁড়া থেকে দাঁত ব্যথা! আচমকা রোগের কবলে পড়লে এই সব ঘরোয়া টোটকায় পাবেন স্বস্তি
আমসত্ত্বের স্বাদ ভুলছে বাঙালি? আর বাজার থেকে কিনতে হবে না, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মা-ঠাকুমার মতো আমসত্ত্ব
গরম পড়তেই চুলের দফারফা? শুধু শ্যাম্পু-কন্ডিশনার নয়, এই কটি কৌশলেই লুকিয়ে ঝলমলে চুলের রহস্য
যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে জল খান? এই 'ভুলটা' করেই চলেছেন বলে শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ!
মাংস-ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন! নিয়মিত এই কটি বীজ খেলেই ঘাটতি হবে না পুষ্টির, আপনি খাচ্ছেন তো?
মলাশয় থেকে টেনে বার করে আনবে পুরনো মল! ফাইবারের খনি এই সব ফল খেলেই সকালে পেট হবে পরিষ্কার
ঋতুস্রাবের ব্যথায় ছটফট করেন? ওষুধ ছেড়ে এই ৫ পন্থায় ভরসা রাখুন, প্রতি মাসে পাবেন স্বস্তি
প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিলে অনায়াসে বাঁচানো যাবে এক হাজার টাকা, মেনে চলুন এই সহজ নিয়ম
রোগা হওয়ার জন্য কলা খাচ্ছেন না? সত্যি কি এই ফল খেলে ওজন বাড়ে? সঠিক উত্তর জানলে ধারণা বদলে যাবে
চরিত্র বদলে ফের হানা করোনার! নতুন ভ্যারিয়েন্টের থেকে বাঁচতে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
তিনগুণ উঁচু ঢেউ, সাগর ফুটবে আগুনে! জাপানি বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে কোন কোন দেশে বাতিল হচ্ছে হাজারো ভ্রমণ?
ইমিউনিটি থেকে ওজন, সব থাকবে হাতের মুঠোয়! ভাত-রুটির বদলে ডিনারে খান এই নিরামিষ স্যুপ, শরীর থাকবে ঝরঝরে